স্কুলজীবনে পড়া একটি কবিতার কথা মনে পড়ে, যেখানে বলা হয়েছিল, “অসুন্দরে নাশবি যদি/ গড়বি নব নন্দনে রে।” বর্তমান পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অসুন্দর কিছু বাদ দিয়ে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করতে হবে। গত কয়েক বছরে সরকারি চাকরি আবার জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, কিন্তু এর সঙ্গে এসেছে বয়সের সমস্যা।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বর্তমানে ৩২ বছর, যা নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছে। অতীতে বয়সসীমা ২৫ বছর ছিল, পরে ৩০ বছর ও ৩২ বছর পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। আজকের বাস্তবতায়, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে, তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এই সীমা বাড়ানো জরুরি।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রমের সাথে সরকারি চাকরির পরীক্ষার মাঝে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে, যা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাবে বেকারত্ব বাড়ছে। করোনার পরবর্তী সময়ে এই পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে গেছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো হলে তরুণদের মনোবল চাঙা হবে এবং চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়বে। দেশের গড় আয়ু বেড়েছে এবং বর্তমানে কর্মক্ষম মানুষদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কল্যাণকামী হিসেবে বিবেচনা করে আশা করা যায়, তারা তরুণদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর এবং অবসরের বয়স ৬০ বছর করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এই পরিবর্তন দেশের যুবসমাজের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলবে।