ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হোটেলে বসে নোবেল জয়ের খবর পেয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অন্যতম গডফাদার জেফরি এভারেস্ট হিনটন। হোটেলটিতে ইন্টারনেট সংযোগ নেই, এমনকি ফোনের নেটওয়ার্কও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন হিনটন এবং জন জে. হপফিল্ড।
এই উদ্ভাবন কম্পিউটারকে মানুষের মতো ভাবতে সাহায্য করেছে। মেশিন লার্নিং বর্তমানে বিজ্ঞান, প্রকৌশল, এবং দৈনন্দিন জীবনে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। তবে নোবেল পাওয়ার বিষয়ে হিনটন কখনো আশাও করেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি বিস্মিত, জীবনে এমন কিছু হবে, ভাবিনি। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত।’ হোটেলে বসেই তিনি জানান, 'আজ আমার এমআরআই স্ক্যান করানোর কথা ছিল, তবে মনে হয় তা বাতিল করতে হবে।'
হিনটন মনে করেন, এআই মানবসভ্যতায় শিল্প বিপ্লবের মতো প্রভাব ফেলবে, এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতায় মানুষকে ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, 'এআই আমাদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও দক্ষতার উন্নতি ঘটাবে।' তবে এর নেতিবাচক দিক নিয়েও সতর্ক করেছেন, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা।
হিনটন, যিনি কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পরিসংখ্যান পদার্থবিজ্ঞানের টুলস ব্যবহার করে মেশিন লার্নিংয়ের উন্নতি সাধন করেছেন। ২০১৩ সালে গুগলে যোগ দিয়েছিলেন, তবে গত বছর চাকরি ছেড়ে দেন এআইয়ের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলার জন্য।