বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আর্থিক খাত সংস্কারে সহযোগিতা করতে বিশ্বব্যাংক ১০০ কোটি ডলার ঋণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে চারটি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তা: একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা
১৫ সেপ্টেম্বর, রোববার, বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ সহায়তার পরিকল্পনার বিস্তারিত জানায়।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার পলিসি বেইজড ঋণ হিসেবে প্রদান করবে। এছাড়াও, ইনভেস্টমেন্ট লোন এবং গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এই ঋণটির অনুমোদন ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঋণের শর্তাবলী
বিশ্বব্যাংকের ৭৫ কোটি ডলার ঋণ পেতে বাংলাদেশকে চারটি প্রধান শর্ত মানতে হবে:
1.সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাঠামো তৈরি: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ আদায়ে একটি কার্যকর সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
2. ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্ধারণ: ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী কে হবে তা নির্ধারণের জন্য উপযুক্ত নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
3. ফরেনসিক নিরীক্ষার কার্যপরিধি নির্ধারণ: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক নিরীক্ষার কার্যপরিধি কী হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
4.বিধিবিধান বাস্তবায়নে বিভাগ গঠন: বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবিধান বাস্তবায়নের জন্য একটি পৃথক বিভাগ গড়ে তুলতে হবে।
এছাড়া, বাকি ২৫ কোটি ডলার ঋণ বিনিয়োগ ঋণ ও গ্যারান্টি-সুবিধা হিসেবে ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে।
এই শর্তগুলির বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ঋণ সহায়তা পাবে এবং দেশের আর্থিক খাতের সংস্কারের পথ সুগম হবে। বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ সহায়তা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।