বিশ্বনেতাদের সমাবেশ: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন ২০২৪

  

সংগৃহীত 


 আলোচ্য বিষয়সমূহ

জাতিসংঘের বার্ষিক এই অধিবেশনে গাজা যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি এবং ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বের জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সংঘাত এবং দায়মুক্তির বেড়ে যাওয়ার চিত্র দেখছি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”


#### বিশ্বনেতাদের উপস্থিতি

এবারের অধিবেশনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্যগুলি এই সংঘাতগুলোর মধ্যে গাজা পরিস্থিতির ওপর কেন্দ্রীভূত হবে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের রিচার্ড গোওয়ান বলেন, “গাজা পরিস্থিতি স্পষ্টতই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে, তবে পূর্বনির্ধারিত বক্তৃতাগুলো বাস্তব পরিস্থিতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।”


 সামিট অব দ্য ফিউচার

জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ সংঘাতগুলো মোকাবেলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন। যদিও কিছু কূটনীতিক মনে করছেন যে, এই সম্মেলনে উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব রয়েছে। তারা সতর্ক করেছেন যে, এই শীর্ষ সম্মেলনটি অতীতের সম্মেলনের মতোই হতে পারে, যা বাস্তব সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর হবে না।


নিরাপত্তা ব্যবস্থা

এদিকে, জাতিসংঘের সদর দপ্তরের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করতে ইস্পাতের একটি বলয় তৈরি করা হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য ট্রাফিকের অচলাবস্থা সৃষ্টি করছে। সাধারণ অধিবেশন চলাকালে ভিআইপি মোটরবহর এবং সড়ক বন্ধের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রয়েছে


#### বিশ্ব সংকট মোকাবেলা

গুতেরেস বলেছেন, “আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে আমাদের সক্ষমতার চেয়েও দ্রুত এগিয়ে চলেছে।” তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন এবং অর্থনৈতিক অসমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইসিআরসির জাতিসংঘের প্রতিনিধি ল্যাটিটিয়া কোর্তোয়া যোগ করেছেন, “সংঘাত মোকাবেলা এখনই জরুরি, তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নয়।”

#### ভবিষ্যৎ আলোচনা

অধিবেশন শেষে সাধারণ পরিষদের উচ্চস্তরের সপ্তাহ শুরু হবে, যেখানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র ভাষণ দেবে। এর মধ্যে ব্রাজিলের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, চীন ও রাশিয়ার নেতারা এ বছরেও অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকবেন।


এখন দেখার বিষয় হলো, এই সম্মেলন বিশ্বব্যাপী সংকট মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে কতটা সহায়ক হতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post