HomeNews রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ড. ইউনূসের তিনটি প্রস্তাব: জাতিসংঘের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক byISMAIL -September 25, 2024 0 সূত্র:ইত্তেফাক ডিজিটাল রিপোর্টপ্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।বৈঠকে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব দেন:১. যত দ্রুত সম্ভব জাতিসংঘ মহাসচিবের উচিত রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা। এই সম্মেলনে সংকটের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে উদ্ভাবনী ও অগ্রসর সমাধান খোঁজা উচিত।২. বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ যৌথভাবে পরিচালিত 'জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান'-এর কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রয়োজন। স্লাইডিং ফান্ডিং পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রিসোর্স বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আরও রাজনৈতিক অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।৩. রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যামূলক অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আইসিসি মামলার অগ্রগতির বিষয়ে প্রসিকিউটর করিম খানের কাছ থেকে শুনানি অপেক্ষা করছি। মিয়ানমারে সামরিক জান্তার অন্যায়ের প্রতিকার দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও নিরাপত্তার চাবিকাঠি।বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপ, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের প্রত্যাশায় রয়েছি।ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ ১.২ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক এই জনসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হয়। সাম্প্রতিক দুই মাসে আরও ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এত বড় সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যয় অত্যন্ত বেশি। এতে দেশের নিজস্ব উন্নয়নও হুমকির মুখে পড়েছে। স্পষ্টতই বাংলাদেশ তার ধৈর্যের সীমায় পৌঁছেছে।তিনি বলেন, যতই বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চেষ্টা করুক না কেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান। Tags News Facebook Twitter