মালয়েশিয়া যেতে না পারা বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে: আনোয়ার ইব্রাহিম

 


প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, "মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ হওয়া ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর পুনরায় প্রবেশের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব। আমাদের শ্রমিকের প্রয়োজন, তবে কাউকে 'আধুনিক দাস' হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।"


আজ শুক্রবার দুপুরে আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় পৌঁছান এবং পরে তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে তারা ঢাকার একটি হোটেলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। 


এসময়, ড. ইউনূস রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুর দ্রুত সমাধানে আসিয়ানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়াও, তারা দুই দেশের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি, শিক্ষা, হালাল অর্থনীতি, অর্ধ-পরিবাহী শিল্প, সুনীল অর্থনীতি, বিজ্ঞান উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা এবং যুব উন্নয়ন বিষয়ে নতুন চুক্তি বা এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং)-এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।


ড. ইউনূস আরও বলেন, "আমরা বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধির এবং তাদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা প্রদানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি।"

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, "অবশ্যই, সব শর্ত পূর্ণ সাপেক্ষে ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে যত দ্রুত সম্ভব মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।"


এছাড়া, ৩১ মে মালয়েশিয়া প্রবাসী কর্মী প্রবেশের শেষ দিন ছিল, ওইদিন প্রায় ১৮ হাজার কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, "আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের উদ্বেগ হলো যে, যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো অবশ্যই মেনে চলা উচিত। আমাদের শ্রমিকের প্রয়োজন, কিন্তু তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না—তারা বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া বা অন্য যেকোনো দেশেরই হোক না কেন।"


এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কর্মীদের সতর্ক থাকার এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিদেশিদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড না করার আহ্বান জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post