কর্মক্ষেত্রে মানুষ জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় করে, তাই সেখানে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত না হলে ব্যক্তিগত জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন, প্রতিযোগিতা, কাজের চাপ এবং ব্যালান্স বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুতর প্রভাব ফেলে। সহযোগিতামূলক পরিবেশ ও কাজের উদ্দেশ্য থাকলে কর্মক্ষমতা বাড়ে, কিন্তু হতাশা ও উদ্বেগ কর্মক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৩ কোটিরও বেশি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন, এবং এ কারণে ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে। এই বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এখনই," যা মানসিক স্বাস্থ্য ও সহায়ক পরিবেশের গুরুত্ব তুলে ধরছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কর্মক্ষেত্রে চাপ বুঝতে এবং মোকাবেলার জন্য ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সুস্থ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে, খোলামেলা আলোচনা ও পর্যাপ্ত বিরতি নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জরিপ অনুযায়ী, দেশের ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, এবং ৯০ শতাংশের বেশি চিকিৎসার বাইরে রয়েছে।
সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ কর্মী কর্মক্ষেত্রে অস্বস্তি অনুভব করছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা না হলে উদ্বেগজনক অর্থনৈতিক খরচের মুখোমুখি হতে হয়। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হলে কাজের মান বৃদ্ধি পাবে।