![]() |
মুসলিম ও আরব আমেরিকানদের সমর্থন পেতে প্রচারণায় গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প |
মিশিগানের ডিয়ারবর্নে মুসলিম ও আরব আমেরিকানদের সমর্থন পেতে প্রচারণায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার বিকেলে শহরের বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ খালি হয়ে যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। 'দ্য গ্রেট কমনার' রেস্টুরেন্টের জেনারেল ম্যানেজার জেইনা শাহাবান জানান, সাধারণত শুক্রবার বিকেলে হালাল রেস্টুরেন্টগুলো ভরপুর থাকে, তবে ট্রাম্পের আগমনের কারণে অনেক অতিথি তাদের রিজার্ভেশন বাতিল করেছেন।
স্থানীয় আরব-মুসলিম কমিউনিটি ট্রাম্প প্রশাসনের আগের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ২০১৭ সালে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপে তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপে সেই নিষেধাজ্ঞা ২০১৮ সালে স্থগিত করা হয়, তবে এটি এখনও কমিউনিটির মধ্যে একটি সংবেদনশীল বিষয়।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের দৃঢ় সমর্থন আরব-মুসলিম ভোটারদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়েছে। বাইডেন প্রশাসনকে গাজা, লেবানন ও ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জন্য দায়ী করার পাশাপাশি ট্রাম্প নিজে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিলের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৪১ শতাংশ মুসলিম ভোটার কমলা হ্যারিসকে এবং ৪২ শতাংশ গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনকে সমর্থন করছেন, যেখানে ট্রাম্পের সমর্থন মাত্র ১০ শতাংশ।
ডিয়ারবর্নের ব্যবসায়ী আলবার্ট আব্বাস মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর জন্য ট্রাম্পের বর্তমান প্রতিশ্রুতি মুসলিমদের তার পক্ষে টানতে পারে। তিনি বলেন, "ট্রাম্পই একমাত্র প্রার্থী যিনি গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং লেবানন ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।" আব্বাসের মতে, ডিয়ারবর্নের অধিকাংশ মুসলিম ও আরব আমেরিকানরা ট্রাম্পকেই সমর্থন করবেন।