মুম্বাই শহর এখনও সিংঘামকে ভুলতে পারেনি। পুলিশ কমিশনার বজরং দত্ত ছিলেন সিংঘাম, যিনি অত্যাচারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কিন্তু নতুন একটি বিপদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে—একটি শক্তিশালী গ্যাং, যার নেতা রুদ্র। সে শহরের সমস্ত অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
একদিন, সিংঘাম অফিসে ফিরে আসার সময়, তিনি একটি চিঠি পেলেন। চিঠিতে লেখা ছিল, "আমি রুদ্র, তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আসো, দেখিয়ে দিই কে বেশি শক্তিশালী!" সিংঘাম বুঝলেন, এই চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
তিনি তার পুরনো টিমকে একত্রিত করলেন—সাবেক সহকর্মী কৃষ্ণ ও পেশাদার গোয়েন্দা রিয়া। তারা দ্রুত একটি পরিকল্পনা তৈরি করলেন। সিংঘাম জানতেন, রুদ্রকে আটকাতে হলে তার সংগঠনের অন্তরালে ঢুকতে হবে।
রুদ্রের গ্যাংয়ের কার্যকলাপের মধ্যে ঢোকার জন্য, সিংঘাম এবং তার টিম বিভিন্ন disguises নিয়ে কাজ শুরু করলেন। এক রাতে, তারা একটি গ্যাং বৈঠকে infiltrate করলেন। সিংঘাম রুদ্রকে সনাক্ত করলেন এবং তার ওপর নজর রাখতে থাকলেন।
কিন্তু রুদ্র ছিল বুদ্ধিমান। সে বুঝতে পারল যে কেউ তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। এক সন্ধ্যায়, সে সিংঘামকে খুঁজে বের করল এবং একটি ফাঁদে ফেলল। সিংঘাম আটকা পড়ে গেলেন, কিন্তু তার মনোবল কখনো ভেঙে যায়নি।
তিনি একটি চতুর পরিকল্পনা তৈরি করলেন। রিয়া এবং কৃষ্ণের সাহায্যে, সিংঘাম পালিয়ে এসে গ্যাংকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করলেন। তারা একটি বড় অভিযান শুরু করলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরতে।
অবশেষে, একটি চূড়ান্ত মুখোমুখি সংঘর্ষে সিংঘাম রুদ্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। রুদ্র বলল, "তুমি আমাকে হারাতে পারবে না!" সিংঘাম দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, "অত্যাচারীদের জন্য স্থান নেই!"
যুদ্ধ শুরু হলো। দুই শক্তিশালী পুরুষের মধ্যে সংঘর্ষের সময়, সিংঘাম তার শক্তি ও ন্যায়ের আদর্শ নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগলেন। শেষ পর্যন্ত, সিংঘাম বিজয়ী হলেন, রুদ্রকে গ্রেফতার করে।
শহর আবার সুরক্ষিত হলো, এবং সিংঘাম তার সততা ও সাহসের জন্য আবারও সবার হৃদয়ে স্থান করে নিলেন। তিনি জানতেন, সত্যিকার সিংঘাম হতে হলে কেবল বাহুর শক্তি নয়, মনোবলেরও প্রয়োজন। এই অভিযানের মাধ্যমে, সিংঘাম বুঝলেন—যুদ্ধের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ন্যায়ের পথে চলা।
এভাবেই সিংঘাম এগেইন একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো, যেখানে ন্যায়ের জয় হবে সবসময়।