ভারতীয় সীমান্তে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের সাফল্য
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতের কাছে হারানো প্রায় ২০০ একর জমির মালিকানা ফিরে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌজন্য বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পিএসসি) মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই জমিগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশপাড়া এলাকায় অবস্থিত। চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) পিলার ১৫৭/এমপি থেকে ৮৫/১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার পদ্মা নদীর ভাঙনে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সীমানা এলোমেলো হয়ে যায়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্তর্গত প্রায় ২০০ একর জমি এবং ভারতের অন্তর্গত প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া গেছে।
গতকাল বিএসএফের আহ্বানে সীমান্তের মহিষকুণ্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস থেকে ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে জমির বিবদমান বিষয়, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ও মাদক পাচার রোধ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিজিবির পক্ষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অক্টোবর মাসে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি, ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।