সম্প্রতি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া হত্যা এবং মব জাস্টিসের ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মানসিক রোগী এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতার মৃত্যুর ঘটনাগুলো আইনের শাসনের অভাবে ঘটছে, যা আমাদের সমাজের জন্য অশনিসংকেত।
মব জাস্টিসের বিপরীতে আইনের শাসন
আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রশ্ন উঠছে, আইনের হাতে অপরাধীদের সোপর্দ না করে কেন গণপ্রতিরোধের মাধ্যমে বিচার করা হচ্ছে? এর ফলশ্রুতিতে, সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, যা কেবল ভুক্তভোগীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
সরকারী পদক্ষেপের অভাব
সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হলেও, বাস্তবে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, কিন্তু এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটি পরিষ্কার নয়।
বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নির্দেশ করছে যে, সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না।
শঙ্কিত জনমানস
জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং শঙ্কা বাড়ছে। মাজার, দরবারে হামলার মতো ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরীভাবে কাজ করছে না। সরকারের উচিত এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কার্যকরী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
ভবিষ্যতের পথ
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে, সকল স্তরে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
