যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩২ বছর। এ বয়সসীমা সংশোধন করে নতুন প্রস্তাবে সাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধা উভয় প্রার্থীর জন্য ৩৩ বছর করা হচ্ছে। অন্যদিকে অবসরের বয়সসীমা সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছর নির্ধারিত ছিল। নতুন প্রস্তাবে সবার অবসরের বয়স ৬৩ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবের পেছনে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করেছে, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। কমিটি তাদের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টাই দেবেন।
চাকরিপ্রত্যাশীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হোক। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। সর্বশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় এবং যৌক্তিক বয়সসীমা নির্ধারণে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
কমিটি গঠন করার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, নতুন বয়সসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের সমান সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। উভয়ের জন্য প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ বছর করা হচ্ছে এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৩ বছর করা হচ্ছে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধারা ৬১ বছর চাকরির সুবিধা ভোগ করেন, কারণ তারা এক বছরের পোস্ট রিটায়ারমেন্ট লিভ (পিআরএল) পান। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই সুবিধাও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিসট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিসট্রেটিভ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইএএম) থেকেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে। তারা ৩৫ ও ৬৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদের বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে।