চট্টগ্রাম নগরের রহমতগঞ্জ এলাকায় জে এম সেন হলে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এই ঘটনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটে, যখন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য দুর্গাপূজার মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করেন, যার মধ্যে একটি ছিল "শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম"। এই সংগঠনটি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে ছয়জন তরুণ গান পরিবেশন করছেন, এবং আশপাশের অনেকেই সেটি মুঠোফোনে ধারণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভিডিওটি ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান "রিউমার স্ক্যানার" যাচাই করে জানায়, ভিডিওটি আসল এবং এডিট করা হয়নি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ঘটনার পরপরই পূজামণ্ডপে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে ওই তরুণেরা গান পরিবেশন করেছেন বলে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান দাবি করেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা দুটি সম্প্রীতির গান গেয়েছেন এবং ভিডিওটি এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে বিতর্ক আরও বাড়তে থাকে। পূজা উদ্যাপন পরিষদের সূত্র জানায়, তরুণেরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের কথা বলে মঞ্চে উঠেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন।
এ ঘটনার সময় চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নগর আমির শাহজাহান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়, যদিও তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।