![]() |
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছয় সদস্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করেন, যার একটি গান পরিবেশন নিয়ে সমালোচনা চলছেছবি: সংগৃহীত |
চট্টগ্রাম নগরের রহমতগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত জে এম সেন হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্গাপূজার একটি মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশনকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছয় সদস্য ওই মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করেন, যার মধ্যে একটি ছিল ইসলামি গান "শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম।" এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওটি প্রায় ৩ মিনিট দীর্ঘ এবং এতে ছয়জন তরুণকে মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করতে দেখা যায়, যা অনেকেই মোবাইলে ধারণ করেন।
সাংস্কৃতিক সংগঠনটি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থিত বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান দাবি করেছেন, তাঁদের কাছে পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ ছিল এবং তাঁরা সম্প্রীতির দুটি গান পরিবেশন করেছেন। তিনি আরও জানান, ভিডিওটি এডিট করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তবে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার ভিডিওটি যাচাই করে নিশ্চিত করেছে যে ভিডিওটি এডিট করা হয়নি।
ঘটনার সময় মঞ্চের আশেপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গান গাওয়ার সময় কেউ তাঁদের বাধা দেয়নি। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক সুকান্ত মহাজন জানিয়েছেন, পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই ওই তরুণেরা মঞ্চে ওঠেন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করার কথা বলে গান শুরু করেন। এরপর তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান।
এ ঘটনার সময় চট্টগ্রাম আদালত ঘোষিত সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম নগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি, এবং জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী জানিয়েছেন যে তিনি ওই দিন কোনো পূজামণ্ডপে যাননি।
ঘটনার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাত সাড়ে ১০টার দিকে পূজামণ্ডপে উপস্থিত হন এবং জড়িতদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।