ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের মেয়ে বুশরা আফরিনকে চীফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এবং তাকে প্রতি মাসে ৮ লাখ টাকা বেতন দিতেন। এই অভিযোগ ঢাকা মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা তিনটি হত্যা মামলার শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে তুলে ধরেন।
গত ৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তনের পর ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়, এবং এর পর শতাধিক মামলা দায়ের হয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। এই মামলাগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররাও শামিল। প্রায় ২ মাস আত্মগোপন থাকার পর ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মহাখালী থেকে গ্রেফতার করা হয় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে।
গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, আতিকুল ইসলাম তার মেয়েকে বিনা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চীফ হিট অফিসার নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক ঘটনাপ্রবাহ তৈরি করেছেন। তারা আরও দাবি করেন, বুশরা আফরিন কয়েকটি গাড়ি দিয়ে রাস্তায় পানি ছিটিয়ে ডেঙ্গু মোকাবেলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তার কাজ ছিল নামেমাত্র। তারা বলেন, আতিকুল ইসলাম রাজনৈতিক ফায়দা লুটে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন এবং তার মেয়ের নিয়োগে কোন ধরনের কাজের বাস্তবতা ছিল না।
এছাড়াও, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে, আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির মাধ্যমে নকল ওষুধ এনে শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছেন, এবং এই ঘটনার জন্য তাকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা উচিত।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) ঢাকা শহরে চীফ হিট অফিসার হিসেবে বুশরা আফরিনকে নিয়োগ দেয়, তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে এমন কোনো পদ না থাকার কারণে তাকে কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি, এমনটি গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম।