সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রপ্তানির বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ইলিশ রপ্তানির বিরোধিতা আবেগপ্রসূত। যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে, তা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের ইলিশের পরিমাণের চেয়েও কম। এতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কোনো প্রভাব পড়বে না। এর পাশাপাশি, রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে যা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “যদি রপ্তানি বন্ধ করা হয়, তাহলে চোরাচালান বাড়বে। বৈধ রপ্তানি চালু থাকলে এর সুফল আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আকারে পাব।"

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন এসব কথা বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, "ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে বাহবা পেয়েছি। এর ফলে দেশের আয় বাড়বে, যা বড় বাণিজ্যিক স্বার্থের অংশ। এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আহ্বান জানাই। ভারত আমাদের পেঁয়াজের রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে এবং তারা এ ব্যাপারে শুল্কও হ্রাস করেছে, তাই ইলিশ রপ্তানিকে একটি পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে দেখলে ভালো হয়।"
এদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, "ইলিশ রপ্তানির ফলে দেশে ইলিশের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে না। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত ইলিশের মজুদ আছে। এছাড়া, গতবারও ভারত তুলনামূলকভাবে কম ইলিশ নিয়েছিল, এবং এবারও তেমনটা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রপ্তানির কারণে যদি ইলিশের বাজারে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"
ফরিদা আখতার আরও জানান, ইলিশ রপ্তানির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। ভারতের বিশেষ অনুরোধে মন্ত্রণালয় থেকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ইলিশের ঘাটতি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।